লেখকঃ A_s_A . পুতুল আপুদের বাড়ি থেকে আমাদের বাড়ি চলে আসলাম। পরদিন কলেজে গিয়ে বন্ধু জুয়েলকে বললাম... -দোস্ত আমি তো পুতুল কে খুব ভালোবাসি রে। -শ্লা কস কি! জানস না ও তোর সিনিয়র? -মামা প্রেম ভালোবাসা সিনিয়র জুনিয়র মানে না। -তা এখন তুই কি করতে চাস? -আমি কি করব জানলে কি তোর সাথে এই কথা শেয়ার করতাম। কিভাবে কি করতে হবে একটু আইডিয়া দে না প্লিজ! -কি আইডিয়া দিব কিছুই তো মাথায় ঢুকছেনা। চল আমাদের সকল ফ্রেন্ডদের কাছে গিয়ে এই কথা শেয়ার করি -ওকে চল! . আমার সকল ফ্রেন্ড টিনা, মিনি, কিনা, রুয়েল, কুয়েল সবাইকে আমার ভালোবাসার মানুষটার কথা শেয়ার করলাম। অনেকে অনেক ধরণের আইডিয়া দিলো। কেউ বললো চিঠি লিখে দিতে। কেউ আবার বললো সামনাসামনি প্রপোজ করে দিতে। কেউ আবার বললো পুতুল আপুর কোনো বান্ধবীকে দালাল হিসেবে মধ্যখানে রাখতে। বন্ধু ফাহিম বললো সে নাকি আমার কথা পুতুল আপুকে বলে দিবে। তবে সবচেয়ে বেস্ট আইডিয়াটা ছিলো মিনার। মিনা বললো, দোস্ত তুই এতোদিন ধরে পুতুলকে চিনিস। একসময় তোদের মধ্যে একটা ভালো আন্ডারস্ট্যান্ডিং ছিলো, দুজনের মধ্যে বন্ধুত্বও গড়ে উঠেছিলো। তুই যেকোন একটা মেয়ের হাত ধরে কলেজে পুতুলের সামনে যাবি। দেখবি পুতুলের খুব হিংসে হবে যদি সে তোকে একটু হলেও মন থেকে ভালোবাসে। আমি মিনাকে বললাম, পুতুল আপু তা দেখে কি আমার সাথে রিলেশন করতে চাইবে? মনে মনে হয়তো ভাবতে পারে ছেলাটা যদি আমাকে সত্যিই ভালোবাসতো তাহলে অন্য মেয়ের হাত ধরতো না। টিনা বললোঃ হাহা তুই পুতুলকে ভালোবাসিস আর তাকে আপু বলে ডাকছিস? এবার মিনা আমাকে উদ্দেশ্য করে বললোঃ আরে পাগল তুই যা ভাবছিস তা না। আমার কথা একবার শুনেই দেখ! আমি তোর খুব ভালো বন্ধু। আমরা তোর ভালো চাই -কিন্তু মেয়ে পাব কই (আমি) -কোন মেয়ে (রুয়েল) -যার হাত ধরে পুতুলের সামনে যাব? রুয়েল বললো যে তোকে এই আইডিয়া দিয়েছে তাকে দিয়েই শুরু কর। -মিনা চল না একটু পুতুলের সামনে আমার হাত ধরে ঘুরবি -আমি পারব না বাবা। (মিনা) -পারবিনা ক্যান? আমরা তো দুজন ভালো বন্ধু। আমার সাথে হাত ধরার হ্যাট্টিং করলে কি এমন ক্ষতি হবে? -তোর হাত ধরে এখানে সারাক্ষণ বসে থাকতে পারব কিন্তু পাবলিক প্লেসে এইভাবে হাত ধরে আমি তোর সাথে হাঁটতে পারব না দোস্ত। প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দিস। . কি আর করার। মিনা আসলে একটু লাজুক তো তাই এসবে যায় নি। অবশেষ সবার রিকুয়েস্ট এবং আমার কথা ভেবে টিনা আমার হাত ধরে পুতুলের সামনে যেতে রাজি হলো। . পরদিন বিরতির সময় পুতুলের সামনে গিয়ে আমি আর টিনা হাত ধরে ঘুরছি। আড়চোখে তাকিয়ে দেখি পুতুুল আমাদের সব কিছু দেখছে। ইয়া হু কাজ হয়েছে মনেহয়... পুতুলের সামনে গিয়ে বললাম, জানো টিনা একটা মেয়েকে প্রপোজ করেছিলাম বিনিময়ে থাপ্পড় পেয়েছি -হাহা তাই নাকি (টিনা) -হুম। কেনো যে তুমি আমার জীবনে আর কয়েকটা দিন আগে আসলে না! তাহলে ওই নাক বোচা মেয়েকে প্রপোজ করে এতো লজ্জা পেতাম না। পুতুলকে দেখে মনে হচ্ছে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেছে। কিছু বলতে চাইবে তার আগেই সেই জায়গা ত্যাগ করলাম। . কলেজ শেষে প্রতিদিনের মতো বাড়িতে চলে আসলাম। একজনের সাথে অন্যজনের কোনো কথা নাই। বাস চড়া শেষে পায়ে হেঁটে আসছি। কিছুদূর আসার পর দেখলাম পুতুল দাড়িয়ে আছে। পুতুলের দাড়িয়ে থাকা দেখে আমিও আমার জায়গায় দাড়িয়ে আছি। সামনে গেলে সেদিন থাপ্পড় দিয়েছিলো আজ হাড়গোড় ভেঙে দিবে। আমাকে দাড়িয়ে থাকতে দেখে পুতুল সামনে হেঁটে যাচ্ছে। আমিও হেঁটে যাচ্ছি। কিছুদূর যাওয়ার পর পুতুল আবার দাড়িয়ে গেলো। পুতুলের দাড়িয়ে থাকা দেখে আমিও আমার জায়গায় দাড়িয়ে রইলাম। দূর থেকে ডাক দিয়ে বললো, এই রাজ এই দিকে আয়? আমি ভয়ে যাচ্ছি না। আজ সামনে গেলে নিশ্চই আমার মরার ঘন্টা বাজাবে যেই ভাবে সিলেটে বাংলাদেশ আর জিম্বাবুয়ের টেস্ট খেলার আগে ঘন্টা বাজিয়ে বাংলাদেশকে লজ্জাজনক ভাবে হারানো হয়েছে সেই ভাবে। আবার বললো, মারব না চলে আয়। . মারবেনা শুনে খুব খুশি হলাম। অতপর তার কাছে চলে গেলাম... -বলো কি বলবে? পুতুলঃ তুই... …………চলবে…..........
Posted By: frozen_heart
Post ID: 3469
Posted on: 5 years 10 months ago
Authorized by: errol