পরীক্ষা করে দেখা গেছে, একটা মেয়ে সর্বোচ্চ ৪৭ ঘন্টা ১৬ মিনিট পর্যন্ত একটা সিক্রেট কথা গোপন করে রাখতে পারে। ব্যাপারটা এমন কেউ যদি তাদেরকে কোন সিক্রেট কথা বলে তাহলে তাদের মস্তিষ্কে একধরনের ফিমেল হরমোন নিঃসরণ হয় যা একপ্রকার উত্তেজনা সৃষ্টি করে সিক্রেট কথাটা সবাইকে জানিয়ে দেয়ার জন্য। সাইকোলজি বলে, একটা ছেলে একটা মেয়ের প্রেমে পড়তে সচারচর ৩ মিনিট লাগেে। আর একটা মেয়ে ৩৩ টা ডেটিং করেও বুঝতে পারেনা সে ছেলেটার প্রেমে পড়েছে কিনা। মেয়েদের মধ্যে একটা সাইকোলজিক্যাল রহস্য লুকিয়ে আছে যা আমরা ডিকোড করতে পারিনা। আমাদের পুরুষদের সে শক্তি নাই হয়তো। একটা সুন্দরী মেয়েকে যদি আপনি সুন্দর বলেন তার সুন্দর্য্য আরো বেড়ে যায়। আবার একই তথ্যের বোধটা একটা কম সুন্দরী মেয়েদের মধ্যে ঢুকিয়ে দিলে তার নিজের মধ্যেও একই মানসিক পরিবর্তন দেখা যায়। তখন মেয়েটির সাইকোলজিও একটা সুন্দরী মেয়েদের সাইকোলজির মতো কাজ করে। স্কুল লাইফে একটা দেমাগী মেয়ে ছিল। যেমনে সুন্দর তেমনি অ্যাটিটিউড। ছেলেরা সবাই হুড়মুড়িয়ে ক্রাশ খাওয়া শুরু করেছিল। সবাই রোমান্টিক কবিতা কিংবা প্রশংসা লিখে চিরকুট আকারে মেয়েটিকে দিয়ে আসত। আর মেয়েটি প্রতিবারই চিরকুটটা না পড়ে ছিড়ে ফেলতো। রীতিমতো বড়ভাই, বন্ধুরা সবাই চিঠি আকারে প্রপোজ করেছিল। সবার সাথেই এমনটি করেছিল মেয়েটি। এক বন্ধু চ্যালেঞ্জ করে বললো আমি মেয়েটিকে যে চিঠিটা দিব সেটা সে নিতে বাধ্য হবে এবং ছিঁড়বেও না । কথামতো, তারপরদিন টিফিনের ফাঁকে মেয়েটির টেবিলের সামনে চিঠিটা রেখে আসা হল। আসলে তো মেয়েটি চিঠিটা ঠিকই ব্যাগের ভেতর ঢুকিয়ে ফেললো। বন্ধুকে বললাম, তুই এমন কি লিখেছিস যে সে নিতে বাধ্য হল? আমি লিখেছি, " চিঠিটা পড়িও না, ইনফ্যাক্ট তুমি চিঠিটা পড়তে পারবাও না। আর তোমার কাছে চ্যালেঞ্জ রইলো চিঠিটা না পড়ে তোমার কাছে একদিন রেখে আমাকে আগামীকাল ফেরত দিতে হবে। " চিঠিটা নিয়েছে মানে সে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছে। দেখ আগামীকাল কি হয়! পরদিন মেয়েটি একই ভাজ করা অবস্থায় চিঠিটা বন্ধুর হাতে দিল। বন্ধু এবার বললো, এত কষ্ট করে কবিতাটা লিখলাম পড়ে দেখলা না। মেয়েটি বলল, মিথ্যে বলিও না এটা খালি কাগজ । এখানে কোন কবিতা নাই। তার মানে তুমি চিঠিটা পড়েছ!!! এটাকে বলে রিভার্স সাইকোলজি। কাউকে কিছু করতে না বললে সে আরো বেশি করে কাজটা। আর মেয়েদের মধ্যে এর প্রবণতা খুব বেশি। মেয়েদের মধ্যে জেনারেল সাইকোলজির বাইরে কিছু ব্যতিক্রমধর্মী সাইকোলজিক্যাল বৈশিষ্ট্য দেখা যায়, যেগুলো অন্য কোন শাখার মধ্যে পড়েনা, আবার অ্যাবনরমাল সাইকোলজিও নয়। তাই নারীসুলভ কিছু মৌলিক বিষয় নিয়ে গড়ে উঠেছে ফেমিনিন সাইকোলজি। মেয়েদের যে সাইকোলজি আমরা বুঝিনা তা আলোচনা করে এ ফেমিনিন সাইকোলজি। একটা প্রবাদ আছে এমন, " নারীর হৃদয় সাপের, বুদ্ধি গাধার রুপটা দেবীর, চোখটা ধাঁধার ....." লেখা : Md. Naim Uddin
Posted By: vivi
Post ID: 3535
Posted on: 5 years 10 months ago
Authorized by: HiRA