"কথা কম বল, নিজের ঘরে অবস্থান করো, নিজের গুনাহের জন্য কাদো, এটাই নাজাতের পথ। " কোন প্রেক্ষিতে ঘরে থাকতে বলা হয়েছে? উত্তরঃ মানুষের সফলতা ও মুক্তির তিনটি নির্দেশনা: ----------------------- হাদিসে বর্ণিত হয়েছে:
عَنْ عُقبَةَ بنِ عَامرٍ رضي الله عنه قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَا النَّجَاةُ ؟ قَالَ: «أَمْسِكْ عَلَيْكَ لِسَانَكَ، وَلْيَسَعْكَ بَيْتُكَ، وابْكِ عَلَى خَطِيئَتِكَ» . رواه الترمذي، وقال: حديث حسن উক্ববাহ ইবনে আমের (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আমি নিবেদন করলাম, ‘হে আল্লাহর রসূল! কিসে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব?’ তিনি বললেন, “তুমি নিজ রসনাকে নিয়ন্ত্রণে রাখ। তোমার ঘর তোমার জন্য প্রশস্ত হোক। (অর্থাৎ, অবসর সময়ে নিজ গৃহে অবস্থান কর।) আর নিজ পাপের জন্য ক্রন্দন কর।” (রিয়াদুস সলেহিন, অধ্যায়: নিষিদ্ধ বিষয়াবলী, পরিচ্ছেদ - ২৫৪: গীবত (পরনিন্দা) নিষিদ্ধ এবং বাক্ সংযমের নির্দেশ ও গুরুত্ব, সহিহ)
❖ ব্যাখ্যা:
সাহাবায়ে কেরাম আখিরাতে মুক্তি এবং সফলতার জন্য নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট উপায় জিজ্ঞাসা করতেন। তাই উকবা বিন আমের রা. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি তাকে মুক্তি এবং সফলতার তিনটি উপায়ে বলেছেন। যথা:
❑ ১) জিহ্বা নিয়ন্ত্রণ করো। এর অর্থ: খারাপ ভাষা ব্যবহার না করা, কাউকে অন্যায়ভাবে গালাগালি না করা, কারো বদনাম ও সমালোচনা করা থেকে দূরে থাকা, অযথা অপ্রয়োজনীয় এবং আল্লাহর অসন্তুষ্টি মুলক কথাবার্তা থেকে মুখ নিয়ন্ত্রণ করা ইত্যাদি।
কারণ মানুষ মুখ দিয়ে যা কিছু বলে ফেরেশতা মণ্ডলী তা সংরক্ষণ করে নেয় এবং মুখের ভাষা অপব্যবহারের কারণে কেয়ামতের দিন কিছু মানুষকে নাক ও মুখের ভরে ছেচড়ে জাহান্নামের আগুনে নিক্ষেপ করা হবে। আল্লাহ আমাদেরকে ক্ষমা করুন।
❑ ২) তোমার ঘর তোমার জন্য প্রশস্ত হোক। (অর্থাৎ অবসর সময়ে নিজ গৃহে অবস্থান কর) এ কথার উদ্দেশ্য হল, প্রয়োজনহীনভাবে বাড়ির বাইরে সময় কাটানো উচিৎ নয়। বরং প্রত্যেকের উচিৎ বাইরের কাজ সেরে বাড়িতে এসে বিশ্রাম নেয়া, বাকি সময় স্ত্রী-পরিবারের সাথে কাটানো, ঘরকে আল্লাহর নাফরমানি ও ফেতনা-ফ্যাসাদ থেকে থেকে হেফাজত করা এবং নিজেও বাইরের ফেতনা-ফ্যাসাদ থেকে আত্মরক্ষা করা, পরিবারকে দ্বীনের শিক্ষা দেয়া, বাড়িতে নির্জনে আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগি করা ইত্যাদি।
❑ ৩) নিজ পাপের জন্য ক্রন্দন করো। অর্থাৎ নিজের অন্যায় ও পাপাচারে কারণে আল্লাহর নিকট লজ্জিত অন্তরে তওবা করা এবং বাস্তবে ক্রন্দন করা। কেননা, তওবার ও ক্রন্দনের মাধ্যমে আত্মশুদ্ধি অর্জত হয়। আল্লাহু আলাম।
Posted By: frozen_heart
Post ID: 4041
Posted on: 4 years 7 months ago
Authorized by: FaHiM